Surah Al Waqiah | সূরা আল ওয়াকিয়া

إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ

لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ

خَافِضَةٌ رَافِعَةٌ

إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا

وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا

فَكَانَتْ هَبَاءً مُنْبَثًّا

وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً

فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ

وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ

وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ

أُولَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ

فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ 

ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ

عَلَى سُرُرٍ مَوْضُونَةٍ

مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ

يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ

بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِنْ مَعِينٍ

لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ

وَفَاكِهَةٍ مِمَّا يَتَخَيَّرُونَ

وَلَحْمِ طَيْرٍ مِمَّا يَشْتَهُونَ

وَحُورٌ عِينٌ

كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ

جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا 

إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا

وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ

فِي سِدْرٍ مَخْضُودٍ

وَطَلْحٍ مَنْضُودٍ

وَظِلٍّ مَمْدُودٍ

وَمَاءٍ مَسْكُوبٍ

وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ

لَا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ

وَفُرُشٍ مَرْفُوعَةٍ

إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً

فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا

عُرُبًا أَتْرَابًا

لِأَصْحَابِ الْيَمِينِ

ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ

وَثُلَّةٌ مِنَ الْآخِرِينَ

وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ 

فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ

وَظِلٍّ مِنْ يَحْمُومٍ

لَا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ

إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ

وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنْثِ الْعَظِيمِ

وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ

أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ

قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ

لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَعْلُومٍ

ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ

لَآكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُّومٍ 

فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ

فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ

فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ

هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ

نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ

أَفَرَأَيْتُمْ مَا تُمْنُونَ

أَأَنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ

نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ

عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنْشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ

وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذَكَّرُونَ 

أَفَرَأَيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ

أَأَنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ

لَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ

إِنَّا لَمُغْرَمُونَ

بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ

أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاءَ الَّذِي تَشْرَبُونَ

أَأَنْتُمْ أَنْزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُونَ

لَوْ نَشَاءُ جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ

أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ

أَأَنْتُمْ أَنْشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنْشِئُونَ 

نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِلْمُقْوِينَ

فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ

فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ

وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ

إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ

فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ

لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ

تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ

أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْتُمْ مُدْهِنُونَ

وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ

فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ

وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ 

وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ

فَلَوْلَا إِنْ كُنْتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ

تَرْجِعُونَهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ

فَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ

فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ

وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

فَسَلَامٌ لَكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ

وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ

فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ

وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ

إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ

فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ 

 

উচ্চারণঃ  ইযা-অক্বা‘আতিল্ ওয়া-ক্বি‘আতু।

 লাইসা লিঅক‘আতিহা-কা-যিবাহ্।

 খ-ফি দ্বোয়ার্তু র-ফি‘আহ।

 ইযা- রুজ্জ্বাতিল্ র্আদু রজ্জ্বান্।

 অবুস্সাতিল্ জ্বিবা-লু বাস্সা-।

 ফাকা-নাত্ হাবা-য়াম্ মুম্বাছ্ছাঁও।

 অকুন্তুম্আয্ওয়া-জ্বান্ ছালা-ছাহ্।

 ফাআছ্হা-বুল্ মাইমানাতি মা য় আছ্হা-বুল্ মাইমানাহ্।

 অআছ্হা-বুল্ মাশ্য়ামাতি মা য় আছ্হা-বুল্ মাশ্য়ামাহ্।

 অস্সা-বিকু নাস্ সা-বিকুন।

 উলা-য়িকাল্ মুর্ক্বরাবূন্।

ফী জ্বান্না-তিন্ না‘ঈম্।

ছুল্লাতুম্ মিনাল্ আউয়্যালীন।

অক্বালীলুম্ মিনাল্ আ-খিরীন্।

‘আলা- সুরুরিম্ মাওদ্বূনাতিম্।

মুত্তাকিয়ীনা ‘আলাইহা-মুতাক্ব-বিলীন্।

ইয়াতুফু ‘আলাইহিম্ ওয়িল্দা-নুম্ মুখাল্লাদূন।

বিআক্ওয়া-বিঁও অআবা-রীক্বা অকাসিম্ মিম্ মা‘ঈনিল্।

লা-ইয়ুছোয়াদ্দা‘ঊনা ‘আন্হা-অলা- ইয়ুন্যিফূন।

অফা-কিহাতিম্ মিম্মা-ইয়াতাখাইয়্যারূন।

অলাহ্মি ত্বোয়াইরিম্ মিম্মা-ইয়াশ্তাহূন।

অহূরুন্ ‘ঈনুন্।

কাআম্ছা-লিল্ লুলুয়িল্ মাক্নূন্ ।

জ্বাযা-য়াম্ বিমা-কা-নূ ইয়া’মালূন্।

লা-ইয়াস্মাঊ’না ফীহা-লাগ্ওয়াঁও অলা-তাছীমান্।

ইল্লা-ক্বীলান্ সালা-মান্ সালা-মা-।

অআছ্হা-বুল্ ইয়ামীনি মা য় আছ্হা-বুল্ ইয়ামীন্।

ফী সিদ্রিম্ মাখ্দ্বুদিঁও।

অত্বোয়াল্হিম্ মান্দ্বুদিঁও।

অজিল্লিম্ মামদূদিঁও।

অমা-য়িম্ মাস্কূবিঁও।

অ ফা- কিহাতিন্ কাছীরাতিল্।

লা-মাকতুআতিঁও অলা-মাম্নূ‘আতিঁও ।

অফুরুশিম্ মারফূ‘আহ্।

ইন্না য় আন্শানা-হুন্না ইন্শা-য়ান্।

ফাজ্বা‘আল্না-হুন্না আব্কা-রন্।

উ’রুবান্ আত্র-বাল্

লিআছ্হা-বিল্ ইয়ামীন্।

ছুল্লাতুম্ মিনাল্ আউয়্যালীনা।

অছুল্লাতুম্ মিনাল্ আ-খিরীন্।

অআছ্হা-বুশ্ শিমা- লি মা য় আছ্হা-বুশ্ শিমা-ল্।

ফী সামূমিঁও অহামীমিঁও।

অজিল্লিম্ মিঁ ইয়াহ্মূমিল্।

লা-বা-রিদিঁও অলা-কারীম্।

ইন্নাহুম্ ক্বা-নূ ক্বব্লা যা-লিকা মুত্রাফীন্।

অকা-নূ ইয়ুর্ছিরূ-না ‘আলাল্ হিন্ছিল্ ‘আজীম্।

অ কা-নূ ইয়াকু লূনা আইযা-মিত্না-অকুন্না-তুরা-বাঁও অই’জোয়া-মান্ য়াইন্না-লামাব্ঊছূনা।

আ ওয়া আ-বা-য়ু নাল্ আওয়ালূন্।

কুল্ ইন্নাল্ আউয়্যালীনা অল্আ-খিরীনা

লামাজ্ব্ মূ‘ঊ না ইলা-মীক্ব-তি ইয়াওমিম্ মা’লূম্।

ছুম্মা ইন্নাকুম্ আইয়ুহাদ্দোয়া-ল্লূনাল্ মুকায্যিবূন।

লাআ-কিলূনা মিন্ শাজ্বারিম্ মিন্ যাককুমিন্

ফামা-লিয়ূনা মিন্হাল্ বুতুন্ ।

ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল্ হামীম্।

ফাশা-রিবূনা র্শুবাল্ হীম্।

হা-যা-নুযুলুহুম্ ইয়াওমাদ্দীন্।

নাহ্নু খলাকনা-কুম্ ফালাওলা তুছোয়াদ্দিক্বূন্।

আফারায়াইতুম্ মা তুম্নূন্।

আআন্তুম্ তাখ্লুকু নাহূ য় আম্ নাহ্নুল ‘খ-লিকুন্ ।

নাহ্নু ক্বার্দ্দানা-বাইনাকুমুল্ মাওতা অমা-নাহ্নু বিমাস্বূক্বীন।

‘আলা য় আন্ নুবাদ্দিলা আম্ছা-লাকুম্ অনুন্শিয়াকুম্ আম্ছা-লাকুম্ অনুন্শিয়াকুম্ ফীমা-লা-তা’লামূন্।

অলাক্বদ্ ‘আলিম্তুমুন্ নাশ্য়াতাল্ ঊলা-ফালাওলা- তাযাক্কারূন্।

আফারায়াইতুম্ মা-তাহারুছূন্।

আআন্তুম্ তায্রঊ’নাহূ য় আম্ নাহ্নুয্ যা-রিঊ’ন্।

লাও নাশা-য়ু লাজ্বা‘আল্না-হু হুত্বোয়া-মান্ ফাজোয়াল্তুম্ তাফাক্কাহূন্।

ইন্না-লামুগ্রমূন্।

বাল্ নাহ্নু মাহ্রূমূন্।

আফারয়াইতুমুল্ মা-য়াল্ লাযী তাশ্রবূন্।

আআন্তুম্ আন্ যাল্তুমূহু মিনাল্ মুয্নি আম্ নাহ্নুল্ মুন্যিলূন্।

লাও নাশা-য়ু জ্বা‘আল্না-হু উজ্বা-জ্বান্ ফালাওলা- তাশ্কুরূ ন্।

আফারয়াইতুমু ন্না-র ল্লাতী তূরূন্।

আ-আন্তুম্ আন্শাতুম্ শাজ্বারতাহা য় আম্ নাহ্নুল্ মুন্শিয়ূন্।

নাহ্নু জ্বা‘আল্না-হা তায্কিরতাঁও অমাতা-‘আল্ লিল্মুকওয়ীন্।

ফাসাব্বিহ্ বিস্মি রব্বিকাল্ ‘আজীম্।

ফালা য় উক্বসিমু বিমাওয়া-ক্বি‘ইন্ নুজুমি।

অইন্নাহূ লাক্বাসামু ল্লাও তা’লামূনা ‘আজীম।

ইন্নাহূ লা কুর আ-নুন্ কারীমুন্।

ফী কিতা-বিম্ মাক্নূনিল্।

লা ইয়া স্সুহূ য় ইল্লাল্ মুত্বোয়াহ্ হারূন্।

তান্যীলুম্ র্মি রব্বিল্ ‘আ-লামী ন্।

আফাবিহা-যাল্ হাদীছি আন্তুম্ মুদ্হিনূনা।

অতাজ্ব ‘আলূনা রিয্ক্বকুম্ আন্নাকুম্ তুকায্যিবূন্।

ফালাওলা য় ইযা-বালাগতিল্ হুল্ক্বুম্।

অআন্তুম্ হীনায়িযিন্ তান্জুরূনা।

অনাহ্নু আকরাবু ইলাইহি মিন্কুম্ অলা-কিল্লা-তুব্ছিরূন্।

ফালাওলা য় ইন্ কুন্তুম্ গইর মাদীনীন।

র্তাজ্বি‘ঊনাহা য় ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্।

ফা আম্মা য় ইন্ কা-না মিনাল্ মুর্ক্বারবীন।

ফারওহুঁও অরইহা-নুঁও অজ্বান্নাতু না‘ঈম্।

অ আম্মা য় ইন্ কা-না মিন্ আছ্হা-বিল্ ইয়ামীন।

ফাসালা-মুল্ লাকা মিন্ আছহা-বিল্ ইয়ামীন্।

অ আম্মা য় ইন্ কা-না মিনাল্ মুকায্যিবীনাদ্ব্ দ্বোয়া-ল্লীন।

ফা নুযুলুম্ মিন্ হামীমিঁও।

অ তাছ্লিয়াতু জ্বাহীম্।

ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাককুল্ ইয়াক্বীন্।

ফাসাব্বিহ্ বিস্মি রব্বিকাল্ ‘আজীম্।

 

অর্থঃ  যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে।

 তার সংঘটনের কোনই অস্বীকারকারী থাকবে না।

 তা কাউকে ভূলুণ্ঠিত করবে এবং কাউকে করবে সমুন্নত।

 যখন যমীন প্রকম্পিত হবে প্রবল প্রকম্পনে।

 আর পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে।

 অতঃপর তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে।

 আর তোমরা বিভক্ত হয়ে পড়বে তিন দলে।

 সুতরাং ডান পার্শ্বের দল, ডান পার্শ্বের দলটি কত সৌভাগ্যবান!

 আর বাম পার্শ্বের দল, বাম পার্শ্বের দলটি কত হতভাগ্য!

 আর অগ্রগামীরাই অগ্রগামী।

 তারাই সান্নিধপ্রাপ্ত।

 তারা থাকবে নিআমতপুর্ণ জান্নাতসমূহে ।

 বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে,

 আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

 স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে!

 তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়।

 তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা,

 পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপুর্ণ পেয়ালা নিয়ে,

 তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে।

 আর (ঘোরাফেরা করবে) তাদের পছন্দমত ফল নিয়ে।

 আর পাখির গোশ্ত নিয়ে, যা তারা কামনা করবে।

 আর থাকবে ডাগরচোখা হূর,

 যেন তারা সুরক্ষিত মুক্তা,

 তারা যে আমল করত তার প্রতিদানস্বরূপ।

 তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা;

 শুধু এই বাণী ছাড়া, ‘সালাম, সালাম’

 আর ডান দিকের দল; কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল!

 তারা থাকবে কাঁটাবিহীন কুলগাছের নিচে,

 আর কাঁদিপণূর্ কলাগাছের নিচে,

 আর বিস্তৃত ছায়ায়,

 আর সদা প্রবাহিত পানির পাশে,

 আর প্রচুর ফলমূলে,

 যা শেষ হবে না এবং নিষিদ্ধও হবে না।

 (তারা থাকবে) সুউচ্চ শয্যাসমূহে;

 নিশ্চয় আমি হূরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব।

 অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী,

 সোহাগিনী ও সমবয়সী।

 ডানদিকের লোকদের জন্য।

 তাদের অনেকে হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।

 আর অনেকে হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।

 আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল!

 তারা থাকবে তীব্র গরম হাওয়া এবং প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে,

 আর প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার ছায়ায়,

 যা শীতলও নয়, সখু করও নয়।

 নিশ্চয় তারা ইতঃপূবের্ বিলাসিতায় মগ্ন ছিল,

 আর তারা জঘন্য পাপে লেগে থাকত।

 আর তারা বলত, ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?’

 ‘আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষরাও?’

 বল, ‘নিশ্চয় পূর্ববর্তীরা ও পরবর্তীরা,

 এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই একত্র হবে’।

 তারপর হে পথভ্রষ্ট ও অস্বীকারকারীরা,

 তোমরা অবশ্যই যাক্কূম গাছ থেকে খাবে,

 অতঃপর তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে।

 তদুপরি পান করবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি।

 অতঃপর তোমরা তা পান করবে তৃষ্ণাতুর উটের ন্যায়।

 প্রতিফল দিবসে এই হবে তাদের মেহমানদারী,

 আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি: তাহলে কেন তোমরা তা বিশ্বাস করছ না?

 তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমরা যে বীযর্পাত করছ সে সম্পর্কে?

 তা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমিই তার স্রষ্টা?

 আমি তোমাদের মধ্যে মৃত্যু নির্ধারণ করেছি এবং আমাকে অক্ষম করা যাবে না,

 তোমাদের স্থানে তোমাদের বিকল্প আনয়ন করতে এবং তোমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না।

 আর তোমরা তো প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জেনেছ, তবে কেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ করছ না?

 তোমরা আমাকে বল, তোমরা যমীনে যা বপন কর সে ব্যাপারে,

 তোমরা তা অঙ্কুরিত কর, না আমি অঙ্কুরিত করি?

 আমি চাইলে তা খড়-কুটায় পরিণত করতে পারি, তখন তোমরা পরিতাপ করতে থাকবে-

 (এই বলে,) ‘নিশ্চয় আমরা দায়গ্রস্ত হয়ে গেলাম’।

 ‘বরং আমরা মাহরূম হয়েছি’।

 তোমরা যে পানি পান কর সে ব্যাপারে আমাকে বল।

 বৃষ্টিভরা মেঘ থেকে তোমরা কি তা বষর্ণ কর, না আমি বৃষ্টি বষর্ণ কারী?

 ইচ্ছা করলে আমি তা লবণাক্ত করে দিতে পারি: তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও না?

 তোমরা যে আগুন জ্বালাও সে ব্যাপারে আমাকে বল,

 তোমরাই কি এর (লাকড়ির গাছ) উৎপাদন কর, না আমি করি?

 একে আমি করেছি এক স্মারক ও মরুবাসীর প্রয়োজনীয় বস্তু

 অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

 সুতরাং আমি কসম করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের,

 আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে,

 নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন,

 যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,

 কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া।

 তা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত।

 তবে কি তোমরা এই বাণী তুচ্ছ গণ্য করছ?

 আর তোমরা তোমাদের রিয্ক বানিয়ে নিয়েছ যে, তোমরা মিথ্যা আরোপ করবে।

 সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়?

 আর তখন তোমরা কেবল চেয়ে থাক।

 আর তোমাদের চাইতে আমি তার খুব কাছে; কিন্তু তোমরা দেখতে পাও না।

 তোমাদের যদি প্রতিফল দেয়া না হয়, তাহলে তোমরা কেন

 ফিরিয়ে আনছ না রূহকে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?

 অতঃপর সে যদি নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়,

 তবে তার জন্য থাকবে বিশ্রাম, উত্তম জীবনোপকরণ ও সুখময় জান্নাত।

 আর সে যদি হয় ডানদিকের একজন,

 তবে (তাকে বলা হবে), ‘তোমাকে সালাম, যেহেতু তুমি ডানদিকের একজন’।

 আর সে যদি হয় অস্বীকারকারী ও পথভ্রষ্ট,

 তবে তার মেহমানদারী হবে প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানি দিয়ে,

 আর জ্বলন্ত আগুনে প্রজ্জ্বলনে।

 নিশ্চয় এটি অবধারিত সত্য।

 অতএব তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ কর।

 

বিস্তারিতঃ (১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, যেব্যক্তি প্রতি রাত্রে সূরা ওয়াকেয়া পড়ীবে তাহার উপর অভাব আসিবে না। (বাইহাকী)

(২) যে ব্যক্তি মাগরীবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে সে ব্যক্তি কখনও অভাব অনটনে পতিত হবেনা। {মিশকাত শরীফ}

Popular posts from this blog

 Sayyidul Istighfar | সাইয়িদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

Ayatul Kursi | আয়াতুল কুরসি

Tarabi Namaz | তারাবির নামাজ