Tahajjud Namaz Dua
Tahajjud Namaz Dua
তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে হাদীস
হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী করীম (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজে এত অধিক দাঁড়ালেন যে, তাঁর দু’পায়ের পাতা ফুলে গেল। তখন বলা হল, হুজুর আপনি কেন এরূপ করেন? অথচ আল্লাহ তো আপনার অগ্র পশ্চাতের যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দিয়েছেন। হুজুর (সা.) জওয়াব দিলেন, আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দাহ হব না? (বুখারী, মুসলিম)
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সা.) বলেছেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে, তখন স্বয়ং আমাদের প্রভু পরওয়ার দেগার দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলতে থাকেন, ওগো! কে আছ, যে (এ সময়) আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব। ওগো! কে আছ, যে আমার কাছে কিছু চাবে, আমি তাকে তা দিয়ে দিব। ওগো! কে আছ, যে এ সময় আমার কাছে গুণাহ হতে ক্ষমা চাবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (বুখারী, মুসলিম)
হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয়ই রাতের ভেতর এমন একটি সময় আছে, যদি কোনো মুসলমান ওই সময়টি পায়, আর তখন দুনিয়া আখিরাতের কল্যাণ হতে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দেন। আর এ সময়টা প্রতি রাতেই আসে। (মুসলিম)